
কুমড়ার বাম্পার ফলন ভালাে হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি
আরিফুল ইসলাম আরিফ
রংপুর গংগাচড়া থানার ৯নং নোহালী ইউনিয়নে অল্প খরচ সহ রোগ-বালাই কম আর লাভ বেশি হওয়ায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গত বছর অল্প সংখ্যক কৃষক মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে অধিক লাভবান হওয়ায় এবারে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ব্যাপক হারে হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে বাম্পার ফলন আর ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।
কুমড়া একটি সুস্বাদু, ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ সবজি এ উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা সহ পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা শহর গুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যানুসারে চলতি রবি মৌসুমে অল্প জমিতে স্বল্প সময়ে অন্যান্য রবি শষ্যের পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে কৃষকরা ভালো লাভবান হচ্ছে। এতে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে অনেক কৃষক।
সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুমড়া ক্ষেতে ব্যবসায়ীরা ভিড় জমাচ্ছেন। আর অধিকাংশ কৃষক মিষ্টি কুমড়া উত্তোলন করে জমিতে ডিজিটাল মেশিনে ওজন দিয়ে বিক্রি করছেন।
এ উৎপাদিত কুমড়া বাজারে না নিয়ে জমিতে বিক্রি করায় সে ক্ষেত্রে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। পশ্চিম কচুয়া গ্রামের মৃত্যু আলকাজের ছেলে মোঃ আদম আলী জানান- গত বছর ৫০ শতক জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে প্রায় ৭০ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন।
এবারে আমি মিষ্টি কুমড়া চাষে উৎসাহিত হয়ে ৫ বিঘা জমিতে ৬-৭ হাজার টাকা খরচ করে বাম্পার ফলন পেয়ে ইতিমধ্যে লক্ষাধিক টাকার কুমড়া বিক্রি করেছি। নোহালীর আদম আলীর৷ কৃষকের পাশাপাশি একই ইউনিয়নের আব্দুল মজিদ , আইয়ব আলী (প্রোজেক্ট),বদির রফিকুল মুন্সি বলেন ১ বিঘা জমিতে ভূট্টার যে খরচ হয় মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে তার ৩ গুণ লাভ করা যায়।
তারা আরোও বলেন, এই আবাদের রোগ-বালাই কম থাকায় একটি গাছ থেকে ২০-২৫ টি কুমড়ার ফলন হয়। প্রতিটি মিষ্টি কুমড়ার কেজি বর্তমান বাজারে ১৫-২০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে