
বরিশালের বাকেরগঞ্জের আলোকিত সন্তান বহমূখী প্রতিভাবান কবি, সাংবাদিক, চিত্রশিল্পী এস এম পলাস এবার বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা লিখে ও আবৃত্তি করে ফেসবুক পেইজে প্রকাশ করে লাখ-লাখ দর্শকের মন ছুঁয়েছেন। এবছরের দীর্ঘতম টানা বর্ষা এবং লকডাউন চলাকালীন সময়ে তার প্রথম কবিতা ” বইষ্যা কাল” (বর্ষা কাল) রূপসী টিভির ফেসবুক পেইজে প্রশাক করতেই ভাইরাল হয়ে যায়, যার বর্তমান ভিউ হয়েছে এক মিলিয়নের বেশি।
এর পরে তিনি বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় “মোগো পদ্মা সেতু” প্রকাশ করেন, যার বর্তমান ভিউ ১১ লাখের বেশি।
এর পরে গ্রামীন জীবনের বাস্তবতা ও শৈশব স্মৃতি নিয়ে কয়েকটি কবিতা প্রকাশ করেন। যা দেশ বিদেশে প্রায় এক কোটি লোকে দেখেছে। সব মিলিয়ে প্রায় কোটি লোক তার কবিতা শুনেছেন এবং দেখেছেন। কমেন্টসে অনেকেই লিখেছে “ এই কবিতায় তারা শৈশব ও গ্রামীন জীবন চিত্র শিহরণ জাগিয়েছে।
বাংলাদেশে এটা রেকর্ড বলে মনে করছেন অনেকেই। কারন কবিতার তেমন শ্রোতা নেই। তার মধ্যে আবার নিদ্রিষ্ট কোন অঞ্চলের কবিতায় এত শ্রোতা সত্যিই অকল্পনীয়।
এ বিষয়ে কবি এস এম পলাস জানায়, মূলত আঞ্চলিকতার টান থেকেই এই কবিতা পাঠ। আঞ্চলিক ভাষা একটি জাতিসত্বার শেকড়, সেই হারিয়ে যাওয়া অনেক আঞ্চলিক ভাষা নতুন প্রজন্ম এবং দেশের অন্য অঞ্চলের মানুষের কাছে তুলে ধরতেই এই প্রকাশ।
এস এম পলাসের কবিতায় গ্রামীন সাধারণ মানুষের জীবন চিত্র ফুটে উঠেছে, যা শুনলে যে কেউ মুহুর্তেই হারিয়ে যায় সেই ফেলে আশা শৈশবের গ্রামীন জীবনে। এছাড়াও চলমান সময়ের নানান অসংগতি প্রকাশ পেয়েছে। হৃদয় ছোঁয়া কথা আর ছন্ধময় গাঁথুনি শ্রোতাদের মনে দাগ কাটে তার কবিতায়।
তিনি আরো জানান, এখন থেকে নিয়মিত তার এই আঞ্চলিক কবিতা চলবে। উল্লেখ্য কবি পলাশ ২০১২ সালে রক্তচোষা উপন্যাস লেখে দেশব্যপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জণ করেন। এছাড়া ১০১৬ সালে তার ফিরে এসো মানবতা কবিতা আলোচিত। বাকেরগঞ্জের ইতিহাস পরিচিতি সহ তার প্রকাশিত মৌলিক বইয়ের সংখ্যা ৫টি। অভিনিত নাটক ২০টিরও বেশি। এছাড়া তার রচনা পরিচালনায় নাটক ”মরনের পরে”, ”জার্ণিবাই কুয়াকাটা” উল্লেখ যোগ্য। বহুমূখী প্রতিভাবান এই তরুন একজন চিত্র শিল্পী ও জনপ্রিয় উপাস্থাপক। তিনি সকল দর্শক ও শ্রোতার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।