
আরিফুল ইসলাম আরিফ// আমরা টেকসই বাঁধ চাই, সাহায্য আমাদের দরকার নাই, সাহায্য আমরা চাই না। আমরা চাই এদেশের উওরঞ্চলের বসবাসের জন্য টেকসই তিস্তার বাঁধ।” রুপসী টিভির কাছে এভাবেই আকুতি জানাচ্ছিলেন জলঢাকা উপজেলার বাসিন্দা মণ্ডল। তিস্তার পানির প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে তিনি আয় রোজগারের একমাত্র সম্বল , ফসলি জমি সবই হারিয়েছেন। বসতভিটাতেও পানি উঠে গেছে, জলোচ্ছ্বাসে নিঃশেষ হয়েছেন বার বার। একই পরিস্থিতি গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দাদের। মুহূর্তের মধ্যে জীবন জীবিকার ওপর এমন আঘাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এই অসহায় মানুষগুলো। এই ক্ষয়ক্ষতির মূল কারণ হিসেবে তারা অভিযোগ করছেন টেকসই বাঁধ না থাকাকে। মণ্ডল আক্ষেপ করে জানান তাদের সহায়তার প্রয়োজন নেই, তারা চান যেন বাঁধ যেন ঠিক করে দেয়া হয়। তিনি বলেন, গরিব মানুষের কথা কি বলবো, এবারও জলে গেলে, টেকসই বেড়িবাঁধ না হলে আমরা তো টিকতি পারবো না।” এলাকাগুলোর তিস্তার বেড়ি বাঁধ ভেঙে গিয়ে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ধান ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্হানিয় গ্রামবাসী তারমধ্যে উওরে ভারী বর্ষনে পানির উচ্চতা বেড়েছে কয়েকফুট। কিন্তু ষাটের দশকে নির্মিত উওরঞ্চলের এসব মাটির বাঁধের এখন এতোই জরাজীর্ণ অবস্থা যে জোড়াতালি দিয়েও জলোচ্ছ্বাস ঠেকানোর মতোও অবস্থা নেই। বছরের পর বছর ভাঙতে ভাঙতে উচ্চতা, প্রতিরোধ ক্ষমতা এতোটাই কমে গেছে যে কয়েকটি এলাকার মানুষ নিজ উদ্যোগে মাটি চাপা দেয়ার চেষ্টা করেও পানির তোড় আটকাতে পারেনি। অথচ সরকার প্রতিবছর বাঁধ নির্মাণ বাবদ কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে আসছে বলে খবর প্রকাশ হতে দেখেছেন জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পলাশ রায় কিন্তু তিনি বা স্থানীয়দের কেউ তাদের এলাকায় দৃশ্যত কোন কাজ হতে দেখেননি বলে অভিযোগ করেন। মণ্ডল জানান, টেকসই বেড়িবাঁধের কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় তার এলাকার ২৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ২৫ কিলোমিটার উপচে পানি প্রবেশ করেছে। ১৫টির বেশি রাস্তা ভেঙে গেছে।