সেতু নির্মান না হলেও শেভা পাচ্ছে নাম ফলক, ফেসবুকে ভাইরাল

স্টাফ রিপোর্টার //
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ৮ নং উদয়কাঠী ইউনিয়নের মুনশী বাড়ির জন্য বরাদ্দের আয়রন ব্রিজ নির্মাণ চার বছরেও শেষ হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করে বাড়ির প্রবীণ সদস্য মো. আবু হানিফ ব্রিজটি পাস করিয়ে নিলেও জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারেননি। অথচ বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার।
অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান বরিশাল জেলা পরিষদ থেকে দাবি করা হয়েছে- কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। শুধু ব্রিজটি খুঁজে পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। ব্রিজের স্থানে একটি ভিত্তিপ্রস্তর ছাড়া আর কিছুই করেনি জেলা পরিষদ। উপায় না দেখে ওই বাড়ির লোকজন সুপারি গাছ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছেন। ফলে দুর্ভোগ আর দুর্ঘটনা ভাগ্যের লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ গৃহস্থের নিবাস মুনশী বাড়িতে।
জানা গেছে, দিন তিনেক আগে এই বাড়ির এক গৃহবধূ সন্তানসহ পড়ে গেছেন খালে। একদিন আগে সাত বছরের একটি শিশু সাঁকো পার হতে গিয়ে খালে পড়েছে। এমন দুর্ঘটনা নিত্যদিনের। টাকা কে তুলে নিয়েছে আর কেন হয়নি ব্রিজ সেটি জানতে চান না বাসিন্দারা। তাদের দাবি, জীবনের নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দের টাকায় আয়রন ব্রিজটি নির্মাণ করা হোক।
এদিকে জেলা পরিষদ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, লকডাউন শেষ হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ডেকে প্রকল্প অনুসারে কাজ কেন করা হয়নি তা খতিয়ে দেখা হবে।
জানা গেছে, উপজেলার ৮ নং উদয়কাঠী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব উদয়কাঠী গ্রামের বাসিন্দা আবু হানিফ দীর্ঘদিন চেষ্টার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে মূল সড়কের সঙ্গে মুনশী বাড়ির চলাচলের জন্য একটি আয়রন ব্রিজ পাস করান ২০১৭-১০১৮ অর্থবছরে।
তার ছেলে নুরুল আমিন মুনশী বলেন, আমরা জন্ম থেকেই সাঁকো দিয়ে চলাচল করতাম। বাড়ির সামনে যে খালটি রয়েছে সেটির বিশেষ কোনো নাম না থাকলেও খালটি অনেক বড়। আব্বা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছিলেন, বাড়ির সামনে একটি ব্রিজ নির্মাণ করার। তিনি জেলা পরিষদ সদস্য মাওলাদ হোসেন সানার মাধ্যমে একটি আয়রন ব্রিজের পাস করান। দুর্ভাগ্য আব্বা ২০১৬ সালে মারা যান। তিনি ব্রিজ দেখে যেতে পারেননি। সেই ব্রিজ আজও হয়নি। শুনেছি বরাদ্দের টাকা এসেছে। ভিত্তিপ্রস্তর দেখছি, কিন্তু ব্রিজ আর হয়নি।
এ জাতীয় আরো খবর
আমাদের ফেইসবুক পেইজ